দ্বিতীয় অধ্যায় লেকচার-০৭: তারবিহীন মাধ্যম (রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, ইনফ্রারেড)

তারবিহীন মাধ্যম

তারবিহীন মাধ্যম(Wireless Medium):

কোন ধরনের বাহ্যিক তার সংযোগ ছাড়াই তড়িৎ চৌম্বক সংকেত ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যে মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তাকে তারবিহীন মাধ্যম বা ওয়্যারলেস মিডিয়া বলে। তারবিহীন মাধ্যমে ডেটা তার মাধ্যমের মতো একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত না হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে প্রবাহিত হয়। সাধারণত বায়ু মাধ্যমকেই ওয়্যারলেস মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ মাধ্যমে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা বিকিরণের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান হয়। তারবিহীন বা ওয়্যােরলেস মাধ্যম তিন ধরনের।যথা-
১.রেডিও ওয়েভ(Radio Wave)
২.মাইক্রোওয়েভ(Microwave)
৩.ইনফ্রারেড(Infrared)

 

রেডিও ওয়েভ(Radio Wave):

3KHz থেকে 300GHz এর মধ্যে সীমিত তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ(ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম) কে রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ বলে। বেতার তরঙ্গ এক প্রকার তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা ১ মি.মি. থেকে ১০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এই তরঙ্গ খালি চোখে দেখা যায় না। অন্যান্য সব তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণের মতো আলোর গতিতে গমন করে।

একটি সিগন্যাল প্রতি সেকেন্ডে যতগুলি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করতে পারে তাকে ঐ সিগন্যালের ফ্রিকুয়েন্সি বলে। ফ্রিকুয়েন্সির একক Hz । রেডিও ওয়েভের ব্যবহার ১০ কিলোহার্জ থেকে ১ গিগাহার্জ ফ্রিকুয়েন্সির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সাধারণত বজ্রপাত বা মহাজাগতিক বস্তু থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে বেতার তরঙ্গ বা রেডিও ওয়েভ সৃষ্টি হয়। কৃত্তিমভাবে তৈরিকৃত বেতার তরঙ্গ মোবাইল টেলিযোগাযোগ, বেতার যোগাযোগ, সম্প্রচার, রাডার ও অন্যান্য দিকনির্দেশনা ব্যবস্থা, কৃত্তিম উপগ্রহের সাথে যোগাযোগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্কসহ অসংখ্য কাজে ব্যবহৃত হয়। রেডিও ওয়েভের জন্য ট্রান্সমিটার, রিসিভার, এন্টেনা এবং উপযুক্ত টার্মিনাল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়।

 

রেডিও ওয়েভ এর প্রকারভেদ:

রেডিও ওয়েভ সাধারণত ২ ধরনের। যথা-
১.নিয়ন্ত্রিত রেডিও ওয়েভ: এটি সরকারের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যায় না।
২.অনিয়ন্ত্রিত রেডিও ওয়েভ: এটি যে কেউ ব্যবহার করতে পারে।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের জন্য রেডিও ওয়েভকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা-
১.লো-পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি: শুধু একটি ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে যা ৭০ মিটার বা ২৩০ ফুটের মধ্যে ট্রান্সমিশন উপযোগী। ট্রান্সমিশন গতি 1 থেকে 10Mbps।

২.হাই-পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি: এটির দ্বারা অনেক বেশী দূরত্বে সিগনাল পাঠানো যায়। চলার পথে কোনো বাধা থাকলে তা ভেদ করতে সক্ষম। ট্রান্সমিশন গতি 1 থেকে 10Mbps।

৩.স্প্রেড স্পেকট্রাম: সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি ট্রান্সমিশনে কেবল একটি ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করা হয়, আর স্প্রেড স্পেকট্রাম রেডিও ট্রান্সমিশনে একাধিক ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করা হয়।

 

রেডিও ওয়েভের সুবিধা/বৈশিষ্ট্য:

১.পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
২.কোন ধরনের তারের প্রয়োজন হয় না।
৩.এটি শূন্য মাধ্যমেও চলাচল করতে পারে।
৪.বৈরি আবহাওয়া ও প্রতিকূল পরিবেশেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক থাকে।
৫.বিল্ডিং, পাহাড়-পর্বত, যানবহনসহ যে কোন বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম।
৬.ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার একই সরল রেখায় থাকার প্রয়োজন হয় না।

 

রেডিও ওয়েভের অসুবিধা:

১.বেতার তরঙ্গ মানব দেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
২.এর ফ্রিকুয়েন্সি কম হওয়ায় এটি একসাথে বেশি ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
৩.রেডিও ওয়েভের জন্য আলাদা ট্রান্সমিটার, রিসিভার, এন্টেনা এবং উপযুক্ত টার্মিনাল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়।
৪.ক্যাবল মাধ্যমের চেয়ে ব্যয়বহুল কমিউনিকেশন ব্যবস্থা।

 

রেডিও ওয়েভের ব্যবহার:

১.কৃত্তিমভাবে তৈরিকৃত বেতার তরঙ্গে।
২.মোবাইল যোগাযোগের লিংক স্থাপনে।
৩.টেলিভিশন সম্প্রচার।
৪. ইন্টারনেট সংযোগের জন্য টাওয়ার টু টাওয়ার রেডিও লিংকে ব্যবহার করা হয়।
৫.কৃত্তিম উপগ্রহের সাথে যোগাযোগে।
৬. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।
৭. স্যাটেলাইট বেতার ইত্যাদি।

 

মাইক্রোওয়েভ(Microwave):

300MHz থেকে 300GHz এর মধ্যে সীমিত তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ(ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম) কে রেমাইক্রোওয়েভ(Microwave) বলে। এটি সেকেন্ডে প্রায় 1GHz বা তার বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে কাজ করে। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলতে পারে না তাই ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার মুখোমুখি থাকতে হয়।

মাইক্রোওয়েভের অ্যান্টেনা কোনো ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এবং পথে কোনো বস্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। অধিক দূরত্বের যোগাযোগে মাইক্রোওয়েভ অত্যন্ত জনপ্রিয়।

কৃত্তিম উপগ্রহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাইক্রোওয়েভের সাহায্যে প্রেরক ও গ্রাহক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। মাইক্রোওয়েভ সংযোগ ব্যবস্থায় ডেটা, ছবি, শব্দ, ওডিও, ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়।

 

মাইক্রোওয়েভের প্রকারভেদ:

মাইক্রোওয়েভ ২ প্রকার।যথা-
১.টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ (Terrestrial Microwave)
২.স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ (Satellite Microwave)

টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ (Terrestrial Microwave):এই ধরণের মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তিতে ভূপৃষ্টেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভার এর মধ্যে কোন বাধা তৈরি হলে সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয়। সিগন্যাল কোন ক্রমেই কোন বাধা যেমন-উচু ভবন, পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি অতিক্রম করতে পারে না। কোনো ধরনের বাধা না থাকলে ১ কি.মি. থেকে ৫০ কি.মি. পযর্ন্ত ডেটা চলাচল করতে পারে।

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ (Satellite Microwave): মাইক্রোওয়েভ বায়ুমন্ডলের আয়নোস্ফিয়ার স্তর ভেদ করে যেতে পারে না বলে কৃত্তিম উপগ্রহের(স্যাটেলাইট)সহায়তায় মাইক্রোওয়েভের সিগন্যাল আদান-প্রদান শুরু হয়। স্যাটেলাইটকে পৃথিবী থেকে ২২,২৩৬ মাইল(৩৫৭৮৬ কি.মি.)উপরে জিওনিক্রোনাস অরবিটে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থাপন করা হয়। যেখানে ক্যবলের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্ভব নয় সেখানে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ব্যবহৃত হয়।

তারবিহীন মাধ্যম

স্যাটেলাইট মহাকাশে থেকে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ বলের কারণে পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। সৌরশক্তি ব্যবহারের কারণে স্যাটেলাইট মহাকাশে রাখতে জ্বালানি বা শক্তি খরচ করতে হয় না। স্যাটেলাইটের মৌলিক উপাদানগুলো হল প্রাপক এন্টেনা, প্রেরক এন্টেনা ও ট্রান্সপন্ডার। পৃথিবীতে অবস্থিত স্টেশনগুলোতে শক্তিশালী এন্টেনা থাকে যার নাম VSAT(Very Small Aperture Terminal)। VSAT এন্টেনাগুলো সবসময় স্যাটেলাইটের দিকে রাখতে হয়। স্যাটেলাইটগুলো অনেক দূরে অবস্থিত থাকার কারণে অধিক শক্তিতে তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ বিকিরণ করতে হয়। মহাকাশে স্যাটেলাইটগুলো যে ডিম্বাকার পথে ঘুরতে থাকে সে পথকে অরবিট বা কক্ষপথ বলে।

 

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভের সুবিধা:
১.বিপুল পরিমান ডেটা পাঠানো যায়।
২.প্রতিরক্ষা, প্রাকৃতিক দূর্যোগে যোগাযোগ করা যায়।
৩.ভয়েস কল,ভিডিও কলসহ অনেক ধরনের সেবা প্রদান করা যায়।
৪.আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব।
৫.এটি মূল্য সাশ্রয়ী। এর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন অতি দূরত্বে কল করা যায়।

 

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভের অসুবিধা:
১.স্যাটেলাইট বাস্তবায়ন ও সেটাপ খরচ অনেক বেশি।
২.এ পদ্ধতিতে সিগন্যাল মূল সময় থেকে বিলম্ব সময়ে পৌছায়।
৩.অনেক বড় এন্টেনার প্রয়োজন হয়।
৪.ডেটার অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
৫.ভ্রমণ অবস্থায় ও খারাপ আবহাওয়ায় বিভিন্ন সেবা বাধাগ্রস্থ হতে পারে।

 

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভের ব্যবহার:
১.টেলিভিশন সম্প্রচার কাজে।
২.ইন্টারনেট যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
৩.জিপিএস এর মতো বিভিন্ন অবস্থান নির্নয়ে।
৪.প্রতিরক্ষা কাজে।
৫.গ্রহ, গ্যালাক্সি ও মহাশূন্যের বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষন কাজে।
৬.পৃথিবীর জলবায়ু ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষনের কাজে।
৭.একইসাথে অনেকগুলো দেশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে।
৮.আভ্যন্তরীণ যোগাযোগে।
৯.অপেশাদার রেডিও যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
১০.যে সকল স্থানে ক্যবল ব্যবহার সম্ভব না সেই সকল স্থানে যোগাযোগের ক্ষেত্রে।

 

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ ও টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ এর মধ্যে পার্থক্য

স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ
১.পৃথিবী থেকে প্রায় ২২,২৩৬ মাইল উপরে জিওস্টেশনারী অরবিটে ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়। ১.ভূপৃষ্টেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়।
২.একসাথে একাধিক দেশে কভারেজ প্রদান করা যায়। ২.শুধুমাত্র একটি দেশেই কভারেজ প্রদান করা যায়।
৩.সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয় না। ৩.সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৪.সেটআপ ও খরচ বেশি ৪.তুলনামূলক খরচ কম
৫.ভয়েস কল, ভিডিও কল, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায়। ৫.স্থানীয় টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং এ সহযোগিতা করে।

 

রেডিও ওয়েভ ও মাইক্রোওয়েভের মধ্যে পার্থক্য

রেডিও ওয়েভ মাইক্রোওয়েভ
১.এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 3KHz থেকে 300GHz ১.এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 300MHz থেকে 300GHz
২.এর সংকেত অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে ২.মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে যেতে পারে না
৩.রেডিও ওয়েভ দুই প্রকার-নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত ৩.মাইক্রোওয়েভ দুই প্রকার-টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ ও স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ
৪.এটি একধরনের ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশন মিডিয়া ৪.এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিটার ও অন্যটি রিসিভার থাকে

 

 

ইনফ্রারেড(Infrared):

১৮০০ শতাব্দিতে উইলিয়াম হার্শেল ইনফ্রারেড আবিষ্কার করেন। 300GHz থেকে 430THz পর্যন্ত ফ্রিকুয়েন্সিকে ইনফ্রারেড বলে। ডিভাইস থেকে ডিভাইসে তথ্য পাঠানোর জনপ্রিয় প্রযুক্তি হলো ইনফ্রারেড।
ইনফ্রারেডের ফ্রিকুয়েন্সি সীমা Bluetooth প্রযুক্তির চেয়ে অনেক কম।

 

ইনফ্রারেড এর বৈশিষ্ট্য:

১.এর ফ্রিকুয়েন্সি 300GHz থেকে 430THz।
২.ডেটা চলাচলের গতি ক্যাবল মাধ্যম থেকে অনেক কম।
৩.দৃশ্যমান আলোর চেয়ে বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।
৪. সাধারণত 0.7 মাইক্রোমিটার থেকে 300 মাইক্রোমিটার দূরত্বের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।

 

ইনফ্রারেড এর সুবিধা:

১.দামে সস্তা।
২.স্বল্প বিদ্যুৎ খরচ।
৩.ভালো নিরাপত্তায় ডেটা প্রেরণ সম্ভব।
৪.স্বল্প দূরত্বে ভালো কাজ করে।
৫.সকল ধরনের ডিভাইসের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে।

 

ইনফ্রারেড এর অসুবিধা:

১.ঘরের দেওয়াল বা অন্য কোন বস্তু ভেদ করে অপর প্রান্তে যেতে পারে না।
২.অধিক দূরত্বে ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব নয়।
৩.ধুলাবালি, কুয়াশা ও শীতকালিন সময়ে ডেটা ট্রান্সমিশনে বিঘ্ন ঘটে।

 

ইনফ্রারেড এর ব্যবহার:

১.টেলিভিশন, ভিসিআর ও সিডি প্লেয়ারে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয়।
২.ঘরের দরজা, জানালা, পর্দা, লাইট, ফ্যান, এসি রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে চালু বা বন্ধ করতে।
৩.কার লকিং সিস্টেমে।
৪.বিভিন্ন ধরনের খেলনার রিমোটে।
৫.কম্পিউটারের মাইস, কী-বোর্ড ও প্রিন্টারে।

 

তার মাধ্যম ও তারবিহীন মাধ্যমের পার্থক্য

তার মাধ্যম তারবিহীন মাধ্যম
১.ডেটা ট্রান্সমিশনে উচ্চ গতি সম্পন্ন ১.তার মাধ্যমের তুলনায় নিম্নগতি সম্পন্ন
২.খরচ কম ২.খরচ অনেক বেশি
৩.উচ্চ ব্যান্ডউইথ ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে ৩.ব্যান্ডউইথ নিম্নগতির
৪.মাধ্যম হিসেবে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ও ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। ৪.মাধ্যম হিসেবে রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ ও ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয়।

 

 

 

 

দ্বিতীয় অধ্যায় লেকচার-০৬:তার মাধ্যম(কো-এক্সিয়েল, টুইস্টেড পেয়ার ও ফাইবার অপটিক ক্যাবল)



Written by:

Habibur Rahman(Habib Sir)
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *