কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence)
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্তিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকেই Artificial Intelligence বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলে।
রোবট,ভয়েজ প্রসেসিং,নিউরাল নেটওয়ার্ক, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, জটিল ভিডিও গেমস ইত্যাদি ক্ষেত্রে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জন্য কম্পিউটারে বিশেষ প্রোগ্রাম ও ডেটা ইনপুট করা হয়। কম্পিউটার তার মেমোরিতে সঞ্চিত তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জটিল সমস্যার সমাধান করে থাকে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) কতগুলো বিশেষ গুনের সমষ্টি। যেমন-
১.যে কোন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারা
২.নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ধারনা দেওয়া
৩.অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারা
৪.সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা
৫.সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা
৬.অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া ইত্যাদি
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটি ১৯৫৬ সালে জন ম্যাকার্থি প্রথম চালু করেন। তার মতে ”কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) হলো বুদ্ধিমান যন্ত্র নির্মানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি”।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জনক:
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জনক হলেন অ্যালান টুরিং। ১৯৫০ সালে অ্যালান টুরিং তাঁর টুরিং টেস্ট যুগান্তকারী পরীক্ষা প্রকাশ করেন। এক কথায় টুরিং টেস্টের মাধ্যমে কোন যন্ত্রের চিন্তা করার ক্ষমতা আছে কিনা তা জানা যায়। কোন একটি যন্ত্র টুরিং টেস্টে উত্তীর্ণ হলে বলা যায়-যন্ত্রটির কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আছে। অ্যালান টুরিংকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জনক হিসেবে উল্লেখ করলেও তিনি তাত্তিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক হিসেবেই বেশি সমাদৃত ছিলেন।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রকারভেদ:
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১.আর্টিফিসিয়াল ন্যারো ইনটেলিজেন্স(ANI): এটি হলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রথম ধাপ। এই ধাপটা এমন যে, যে মেশিন দাবা খেলতে পারবে,সে শুধু দাবাই ভালো খেলতে পারবে কিন্তু লুডু খেলা সহজ হলেও তাকে লুডু খেলতে দেওয়া হলে সে লুডু খেলতে পারবে না।আইবিএম-এর ডিপ-ব্লু সর্বপ্রথম কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন দাবা প্রতিযোগী যা বিশ্ব চ্যম্পিয়ান দাবাড়– গ্যারি ক্যাসপারভ-কে পরাজিত করে।
২. আর্টিফিসিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স(AGI): এটি হলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার দ্বিতীয় ধাপ। এ ধাপে কম্পিউটার মানুষের মতো চিন্তা করতে,সমস্যা সমাধান করতে,পরিকল্পনা করতে এবং নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
৩. আর্টিফিসিয়াল সুপার ইনটেলিজেন্স(ASI): এটি হলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার তৃতীয় ধাপ। এ ধাপে কম্পিউটার মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হয়ে চিন্তা করতে,সমস্যার সমাধান করতে,জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করতে,তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার শাখাসমূহ:
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার তিনটি শাখা রয়েছে। যথা-
১.বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞান (Cognitive Science): এক্সপার্ট সিস্টেম,লার্নিং সিস্টেম,ফাজি লজিক,নিউরাল নেটওয়ার্ক,জেনেটিক অ্যালগরিদম এবং ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট।
২.রোবটিক্স (Robotics): ভিজ্যুয়াল পারসেপশন,ট্যাকটিলিটি,ডেক্সটারিটি,লোকোমোশন এবং নেভিগেশন।
৩.ন্যাচারাল ইন্টারফেস (Natural Interface): কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার এই ক্ষেত্রটি মূলতঃ ভাষা ও কথা সনাক্তকরনকে বোঝায়। অর্থাৎ মানুষের ভাষার সাথে কম্পিউটার ও রোবটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করাই হলো ন্যাচারাল ইন্টারফেস। বিভিন্ন ধরনের ন্যাচারাল ইন্টারফেস হলো ল্যাঙ্গুয়েজ স্পিচ রিকগনিশন, মাল্টিসেন্সরি ইন্টারফেস, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদি।
বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞান এর ক্ষেত্রসমূহের সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
ক. লার্নিং সিস্টেম (Learning System): কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় লার্নিং হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য। লার্নিং এজেন্ট চারটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত। এগুলো হলো-১. লার্নিং এলিমেন্ট ২.পারফরমেন্স এলিমেন্ট ৩. ক্রিটিক এবং ৪. প্রবলেম জেনারেটর।
খ. ফাজি লজিক (Fuzzy Logic): ফাজি লজিক হলো এক ধরনের লজিক, যা সাধারণ সত্য এবং মিথ্যা মানগুলোর চেয়েও বেশি কিছু শনাক্ত করতে পারে। ফাজি লজিক দিয়ে প্রশ্ন বা সমস্যাকে সত্য ও মিথ্যার মানে উপস্থাপন করা যায়।
গ. নিউরাল নেটওয়ার্ক (Neural Network): নিউরাল নেটওয়ার্ক হলো এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা মানব মস্তিস্কের নিউরনকে অনুকরন করে তৈরি করা হয়েছে। এবং এই নিউরাল নেটওয়ার্ক মানব মস্তিস্ক যে উপায়ে কাজ করে তা নকল করার উদ্যোগ নেয়।
ঘ. জেনেটিক অ্যালগরিদম (Genetic Algorithm): এর ব্যবহার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি বাড়ন্ত অ্যাপ্লিকেশন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোর মডেল তৈরিতে জেনেটিক অ্যালগরিদম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
ঙ. ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট(Intelligent Agent): ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট হলো একজন এন্ড ইউজার বা প্রক্রিয়ার জন্য একটি বিকল্প সফটওয়্যার যা সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনে কার্যক্রমকে পূরণ করে।
চ. এক্সপার্ট সিস্টেম(Expert system):
কোন টপিকের উপর অনেক তথ্যাবলী সংগ্রহ করে ঐ টপিকের উপর যে কোন প্রশ্ন করে জেনে নেওয়ার জন্য কম্পিউটারকে ঐ টপিকের উপর বিশেষজ্ঞ বা এক্সপার্ট করার ব্যবস্থাকে এক্সপার্ট সিস্টেম (Expert system) বলে।
এক্সপার্ট সিস্টেম এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে কোন জটিল সমস্যার সমাধান কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যায়। এটি মানুষের দেওয়া তথ্য, যুক্তি ও ডেটাবেজের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এক্সপার্ট সিস্টেমে কাজ করার জন্য প্রোগ্রামে তথ্য সরবরাহ করতে হয়। সেই সরবরাহকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এক্সপার্ট সিস্টেম প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এক্সপার্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য:
১. এক্সপার্ট সিস্টেম একটি সফটওয়্যার যা কোনো সমস্যার সমাধান প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
২. এক্সপার্ট সিস্টেম এক বা একাধিক মানুষের দক্ষতার সমতুল্য হলেও মানুষের সমগ্র বুদ্ধিবৃত্তি বা জ্ঞানের বিকল্প হতে পারে না।
৩. এক্সপার্ট সিস্টেমগুলো সাধারণ নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানভিত্তিক হয়ে থাকে।
৪. এক্সপার্ট সিস্টেম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি অংশ।
৫. এক্সপার্ট সিস্টেম দক্ষ হলেও তা মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন।
এক্সপার্ট সিস্টেমের সুবিধাসমূহ:
১. একজন এক্সপার্টের ওপর নির্ভরশীলতাকে হ্রাস করে।
২. হারিয়ে যাবার আগেই বিশেষজ্ঞের জ্ঞান ও দক্ষতাকে করায়ত্ত করে।
৩. পুনঃপুন ঘটে এরূপ সিদ্ধান্ত, প্রক্রিয়া ও কাজগুলোর জন্য সঙ্গতিপূর্ণ উত্তর সরবারাহ করে।
৪. অনভিজ্ঞদেরকে বৈজ্ঞানিকভাবে সমর্থনযোগ্য সমাপ্তিতে পৌঁছার সুযোগ দেয়।
৫. অর্গানাইজেশনগুলোকে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যুক্তিকে সুস্পষ্ট করতে উৎসাহিত করে।
৬. মানুষের মতো কখনই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে ভুলে যায় না।
৭. ঘন্টায় পর ঘন্টা কাজ করতে পারে।
৮. একটি মাল্টি-ইউজার এক্সপার্ট সিস্টেম একই সময়ে বহুসংখ্যক ব্যবহারকারীর কাজগুলো করতে পারে।
এক্সপার্ট সিস্টেমের অসুবিধাসমূহ:
১. কিছু কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে ধরনের সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োজন পড়ে অনেক সময়েই তার ঘাটতি থাকে।
২. স্বাভাবিক নয় এমন পরিস্থিতিতে মানব বিশেষজ্ঞদের মতো সৃষ্টিশীল সাড়া প্রদান করতে পারে না।
৩. ডোমেইন এক্সপার্টগণ সবসময় তাদের যুক্তি ও কারণগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৪. নলেজ বেজে ত্রুটির উদ্ভব ঘটতে পারে এবং তা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতৃত্ব দিতে পারে।
৫. নলেজ বেজকে পরিবর্তন না করা পর্যন্ত পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না।
এক্সপার্ট সিস্টেম ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ:
১. উঁচু মাপের ইন্টারঅ্যাকটিভ অ্যাপ্লিকেশনসমূহে এক্সপার্ট সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। যেমন- ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স, ভয়েস সার্ভার, চ্যাটারবট ইত্যাদি।
২. ফল্ট ডায়াগনোসিস এবং মেডিকেল ডায়াগনোসিস এর ক্ষেত্রে এক্সপার্ট সিস্টেম ব্যবহৃত হয়।
৩. নানা ধরনের জটিল সিস্টেম, প্রসেস কন্ট্রোল এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ ইউজার গাইডে সিদ্ধান্ত সমর্থনে।
৪. শিক্ষামূলক ও টিউটোরিয়াল সফটওয়্যারে।
৫. মেশিন বা সিস্টেমের লজিক সিমুলেশনে।
৬. নলেজ ম্যানেজমেন্টে।
৭. বার বার পরিবর্তিত হয় এরূপ সফটওয়্যারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার (Application of AI):
- মানুষ্যবিহীন গাড়ি এবং বিমান চালনার ক্ষেত্রে।
- জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে। যেমন- ম্যাকসিমা।
- ক্ষতিকর বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিস্ক্রিয় করার কাজে।
- চিকিৎসার ক্ষেত্রে। যেমন- মাইসিন।
- কাস্টমার সার্ভিস প্রদানে। যেমন- Automated online assistance
- বিনোদন ও গেম খেলায়। যেমন- দাবা খেলায়।
- অনেক বড়, কঠিন ও জটিল কাজে।
- স্বয়ংক্রিভাবে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে।
- পরিকল্পনা ও সিডিউল তৈরির ক্ষেত্রে।
- বিভিন্ন ডিভাইসের সূক্ষ্ন ত্রুটি শনাক্তকরণে।
- প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ তল্লাশি করার কাজে।
- বিভিন্ন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা ও স্টক লেনদেন এর ক্ষেত্রে।
- বিভিন্ন অফিসে স্টাফদের প্রতিদিনের কর্মতালিকা বন্টনে।
- অনলাইনে সাহায্যকারী হিসেবে ওয়েবপেজে অ্যাভাটার হিসেবে।
- যানবাহনে গতির সাথে মিল রেখে গাড়ির গিয়ার পরিবর্তনের কাজে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হয়।
- অটো পাইলটের মাধ্যমে বিমান চালনার কাজে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হয়।
- আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা, রায় প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি কাজে।
- রিমোট সেন্সিং কাজে।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা/কুফল:
১. কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট সিস্টেমের কারনে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।
২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার মানবজাতির জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
৩. এটি ব্যয়বহুল ও রক্ষণাবেক্ষন তুলনামূলক জটিল।
৪. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে মৌলিক গবেষণা ও সৃজনশীল কাজ থেকে মানুষ ধীরে ধীরে বিমুখ হয়ে পড়তে পারে। ৫.কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে বুদ্ধিসম্পন্ন বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণও একসময় মানুষের হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
মানব বুদ্ধিমত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পার্থক্য
মানব বুদ্ধিমত্তা | কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা |
---|---|
১. মানব বুদ্ধিমত্তা সরাসরি ইন্দ্রিয়সমূহের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে তার পারদর্শিতা প্রদর্শন করে। | ১. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয়সমূহের অভিজ্ঞতাকে সরাসরি ব্যবহারের সুযোগ থাকে না। |
২. এ বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টিশীল। | ২. এ বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টিশীল নয়। |
৩. মানব বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে খুব সহজে প্রতিরুপ তৈরি বা অন্যকে সরবরাহ করা যায় না। | ৩. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা খুব সহজেই প্রতিরূপ তৈরি ও অন্যদের কাছে সরবরাহ করা যায়। |
৪. মানব বুদ্ধিমত্তা প্রকৃতিগতভাবে প্রাপ্ত। | ৪. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত। |
৫. মানব বুদ্ধিমত্তা চিরস্থায়ী নয়; কোনো কারণে এ বুদ্ধিমত্তার অবনতি ঘটতে পারে। | ৫. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণত চিরস্থায়ী। কম্পিউটার পদ্ধতি ও প্রোগ্রাম বদলানো না হলে এটির হেরফের হয় না। |
৬. মানব বুদ্ধিমত্তা ক্রমেই বিকশিত হতে পারে। | ৬. স্বাভাবিকভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের কোনো সুযোগ নেই। |
৭. মানব বুদ্ধিমত্তাকে লিখে রাখা সম্ভব নয়। | ৭. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রোগ্রাম কোড আকারে লিখে রাখা সম্ভব। |
৮. এক জাতীয় কাজ হলেও মানব বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহারের বিষয়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যয়বহুল। | ৮. একই জাতীয় কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ততটা ব্যয়বহুল নয়। |
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
Written by,
Habibur Rahman(Habib Sir)Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532, +8801913865284