ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড বা ব্যান্ডউইথ (Band Width)
প্রতি সেকেন্ডে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড বা Bandwidth বলে। অর্থাৎ ডেটা ট্রান্সমিশনের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে। যেমন-1Mbps বলতে প্রতি সেকেন্ডে 1024*1024 বিট ডেটা ট্রান্সমিট হয়। ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড এর একক হলো(bps)বিপিএস।
বাইনারী ডিজিট ০ এবং ১ কে বিট বলে। প্রতি সেকেন্ডে একক বিট স্থানান্তরিত হওয়ার হারকে bps বলে। ৮ বিটে হয় ১ বাইট বা ১ ক্যারেক্টর।
bit bps অর্থ হলো per second/bit bps অর্থ হলো per second
kbps অর্থ হলো kilobits per second
Mbps অর্থ হলো megabits per second
Gbps অর্থ হলো Gigabits per second
Tbps অর্থ হলো Terabits per second
Pbps অর্থ হলো Petabits per second
এছাড়া মনে রাখতে হবে, 1B(1 Byte)=8 bit or 1 Character
1KB(1 Kilobyte)=1024 Byte
1MB(1 Megabyte)=1024 KB(Kilobytes)
1GB(1 Gigabyte)=1024 MB(Megabytes)
1TB(1 Terabyte)=1024 GB(Gigabytes)
1PB(1 Petabyte)=1024 TB(Terabytes)
গানিতিক সমস্যা-১: একটি চ্যানেলের মধ্যদিয়ে 10 সেকেন্ডে 1200 বিট ডেটা স্থানান্তরিত হলে তার ব্যান্ডউইথ কত?
সমাধান:আমরাজানি, প্রতি সেকেন্ডে একক বিট স্থানান্তরিত হওয়ার হারকে bps বলে। অর্থাৎ 1 সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা স্থানান্তরিত হবে সেটাই ব্যান্ডউইথ।
অতএব, 10 সেকেন্ডে ডেটা স্থানান্তরিত হয় = 1200 বিট
1সেকেন্ডে ডেটা স্থানান্তরিত হয় = 1200/10 বিট
= 120 বিট
অর্থাৎ ব্যান্ডউইথ হলো 120bps
গানিতিক সমস্যা-২: যদি তোমার ইন্টারনেট স্পিড 512Kbps হয়,তাহলে 5MB সাইজের একটি ফাইল ডাউনলোড করতে কত সময় লাগবে?
সমাধান: যেহেতু ইন্টারনেট স্পিডের একক bps.
অতএব, 5MB=(5*1024*8)Kb
=40960Kb
এখন, 512Kb ফাইল ডাউনলোড করতে সময় লাগে = 1 সেকেন্ড
1Kb ফাইল ডাউনলোড করতে সময় লাগে = 1/512 সেকেন্ড
40960Kb ফাইল ডাউনলোড করতে সময় লাগে =(1*40960)/512 সেকেন্ড
= 80 সেকেন্ড
= 1 মিনিট 20 সেকেন্ড (উত্তর)
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বা Bandwidth এর প্রকারভেদ:
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বা ব্যান্ডউইথকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band)
২. ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band)
৩. ব্রড ব্যান্ড (Broad Band)
ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band):
যে ব্যান্ডে ডেটা স্থানান্তরের গতি সাধারনত সর্বনিম্ন 45bps থেকে সর্বোচ্চ 300bps পর্যন্ত হয়ে থাকে, তাকে ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band) বলে। ন্যারো ব্যান্ড এর ফ্রিকুয়েন্সি 300 Hz থেকে 3400Hz(হার্টজ)। সাধারনত ধীরগতির ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। যেমন-টেলিগ্রাফ,ওয়াকি-টকি ইত্যাদি। ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহৃত হয় এমন একটি ডিভাইস হলো পেজার(Pager).
ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band):
যে ব্যান্ডে ডেটা স্থানান্তরের গতি সাধারনত সর্বনিম্ন 1200bps থেকে সর্বোচ্চ 9600bps পর্যন্ত হয়ে থাকে, তাকে ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band) বলে। ভয়েস ব্যান্ড এর ফ্রিকুয়েন্সি 300 Hz থেকে 3600Hz(হার্টজ)। ভয়েস ব্যান্ডে ন্যারো ব্যান্ডের চেয়ে দ্রুত গতিতে ডেটা স্থানান্তর হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রিন্টার বা কার্ড রিডারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়।
ব্রড ব্যান্ড (Broad Band):
উচ্চগতি সম্পন্ন যে ব্যান্ডে ডেটা স্থানান্তরের গতি সাধারনত সর্বনিম্ন 1Mbps থেকে সর্বোচ্চ কয়েক Gbps পর্যন্ত হয়ে থাকে,তাকে ব্রড ব্যান্ড বলে। এর ফ্রিকুয়েন্সি 1 গিগাহার্টজ এর চেয়ে বেশি। ব্রড ব্যান্ড সাধারনত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, DSL ক্যাবল, মডেম, কো-এক্সিয়াল ক্যাবল, মাইক্রোওয়েভ, স্যাটেলাইট, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের সুবিধা
১.আনলিমিটেড ইন্টারনেট একসেস করা যায়।
২.ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।
৩.টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখা যায়।
৪.এর গতি ডায়াল আপ কানেকশনের চেয়ে ১ শতগুন বেশি।
৫.খুব কম সময়ে ইন্টারনেট থেকে ছবি,ভিডিও ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়।
ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের অসুবিধা
১.ইন্টারনেট ব্যবহারকালীন মাঝে মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
২.সংযোগের ধরন ও ব্যবহার জটিল প্রকৃতির।
ন্যারো ব্যান্ড, ভয়েস ব্যান্ড ও ব্রড ব্যান্ড এর মধ্যে পার্থক্য
ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band) | ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band) | ব্রড ব্যান্ড (Broad Band) |
---|---|---|
১.ডেটা স্থানান্তরের গতি সাধারনত সর্বনিম্ন 45bps থেকে সর্বোচ্চ 300bps পর্যন্ত হয়ে থাকে | ১.ডেটা স্থানান্তরের গতি সাধারনত সর্বনিম্ন 1200bps থেকে সর্বোচ্চ 9600bps পর্যন্ত হয়ে থাকে | ১.ডেটা স্থানান্তরের গতি সাধারনত সর্বনিম্ন 1Mbps থেকে সর্বোচ্চ কয়েক Gbps পর্যন্ত হয়ে থাকে |
২.ধীরগতি সম্পন্ন | ২.মধ্যম গতি সম্পন্ন | ২.উচ্চগতি সম্পন্ন |
৩.টেলিগ্রাফে টেক্সট মেসেজ প্রদানে ব্যবহৃত হয় | ৩.টেলিফোন লাইনে ব্যবহৃত হয় | ৩.অপটিক্যাল ক্যাবল,মাইক্রোওয়েভ ও স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত হয় |
দ্বিতীয় অধ্যায় লেকচার-০১: ডেটা কমিউনিকেশনের ধারণা ও এর উপাদান।
Written by:
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284
Your writing style is cool and I have learned several just right stuff here. I can see how much effort you’ve poured in to come up with such informative posts. If you need more input about Leadership, feel free to check out my website at Webemail24