কো-এক্সিয়াল ক্যাবল(Co-axial Cable):
যে ক্যাবল দিয়ে ক্যাবল টিভি বা ডিস টিভির সংযোগ দেওয়া হয় এবং কপার তারের মধ্য দিয়ে ডেটা তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয় তাকে Co-axial Cable বলে। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল দুটি পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের সাহায্যে তৈরি করা হয়। LAN(Local Area Network) এ ব্যবহৃত ক্যাবল হচ্ছে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর চারটি অংশ রয়েছে। যা নিম্নরুপ-
১.প্লাষ্টিকের জ্যাকেট: তার যাতে বাহিরের আঘাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য ব্যবহার করা হয়। এটি কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর একেবারে বাহিরের অংশ।
২.তামার তারের জালি(কপার শিল্ড): এ অংশ বিদ্যুৎ অপরিবাহী অংশ এবং কপার ওয়্যারের তৈরি কন্ডাক্টারকে বাইরের তাপ, চাপ ও EMI(Electro Magnetic Interference) থেকে রক্ষা করে যাতে নির্বিঘ্নে ডেটা চলাচল করতে পারে।
৩.বিদ্যুৎ অপরিবাহী অংশ(প্লাষ্টিক ফোমের ইনসুলেশন): প্লাষ্টিক ফোমের ইনসুলেশন যেটি ফয়েল শিল্ড দ্বারা আবৃত থাকে যা বিদ্যুৎ অপরিবাহী। এটি তামার তারের কেন্দ্যীয় অংশের উপরে থাকে। তামার তারের কেন্দ্রীয় অংশ যাতে বেঁকে বা কুঁচকে না যায় সে জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
৪.তামার তারের কেন্দ্রীয় অংশ(কন্ডাক্টার): এটি কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর কেন্দ্রীয় অংশ যার মধ্য দিয়ে ডেটা চলাচল করে। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে ১ কি.মি. পর্যন্ত দূরত্বে ডিজিটাল ডেটা প্রেরণ করা যায়। তবে ডেটা ট্রান্সফার রেট তারের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর ডেটা ট্রান্সফার রেট 200Mbps পর্যন্ত হতে পারে এবং ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর প্রকারভেদ:
গঠন অনুসারে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ২ প্রকার।যথা-
১.থিকনেট(Thicknet)
২.থিননেট(Thinnet)
থিকনেট(Thicknet): থিক কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে যে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে তাকে থিকনেট বলা হয়। থিকনেট ভারী, মোটা ও নন-ফ্লেক্সিবল(অনমনীয়) ক্যাবল।এর ব্যাস 0.5 ইঞ্চি এবং ট্রান্সমিশন স্পিড 100Mbps । কোন প্রকার রিপিটার ছাড়া 500 মিটার পর্যন্ত দূরত্বে ডেটা পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা যায়। একে 10 BASE 5 বলা হয়। এখানে 10 হলো ব্যান্ডউইথ(10Mbps) এবং 5 ক্যাবলের দৈর্ঘ্য(500 মিটার)।
থিননেট(Thinnet): থিন কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে যে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে তাকে থিননেট বলা হয়। থিননেট হালকা ও ফ্লেক্সিবল(নমনীয়) ক্যাবল।এর ব্যাস 0.25 ইঞ্চি এবং ট্রান্সমিশন স্পিড 100Mbps । কোন প্রকার রিপিটার ছাড়া 185 মিটার পর্যন্ত দূরত্বে ডেটা পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা যায়। একে 10 BASE 2 বলা হয়। এখানে 10 হলো ব্যান্ডউইথ(10Mbps) এবং 2 ক্যাবলের দৈর্ঘ্য(200 মিটার)।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর সুবিধা/বৈশিষ্ট্য:
১.ইনস্টল করা সহজ।
২.ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম।
৩.ডেটা ট্রান্সমিশন হার তুলনামূলক বেশি।
৪.তুলনামূলক দাম কম এবং সহজে বহনযোগ্য।
৫.১ কি.মি. পর্যন্ত দূরত্বে ডিজিটাল ডেটা প্রেরণ করা যায়।
৬.ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে বেশি ব্যবহৃত হয়।
৭.ডেটা স্থানান্তরের গতি বেশি।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর অসুবিধা:
১.তারের দৈর্ঘ্যের উপর ডেটা ট্রান্সফার রেট নির্ভর করে।
২.রিপিটার ছাড়া ১ কি.মি. এর বেশি দূরত্বে ডেটা পাঠানো যায় না।
৩.তারের দৈর্ঘ্য বেশি হলে নেটওয়ার্ক দূর্বল হয়ে পড়ে।
৪.টুই-স্টেড পেয়ার ক্যাবলের চেয়ে ব্যয়বহুল।
৫.নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন বেশ কঠিন।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর ব্যবহার:
১.টেলিভিশন নেটওয়ার্ক।
২.সিসি টিভি নেটওয়ার্ক।
৩.ক্যাবল টিভি সংযোগের ক্ষেত্রে।
৪.রেডিও ট্রান্সমিটার ও রিসিভারকে রেডিও অ্যান্টেনার সাথে যুক্ত করতে।
৫.লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে।
৬.যানবাহন, বিমান, সামরিক ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল এর কানেক্টর:
১. কমার্শিয়াল ভিডিও কম্পোজিটের কাজে BNC(Bayonet Neil-Concelman) কানেক্টর ব্যবহার করা হয়।
২.বাসা বাড়িতে ডিশ বা ক্যাবল টেলিভিশন নেওয়ার্কে RF কানেক্টর ব্যবহার করা হয়।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল(Twisted Pair Cable):
দুটি পরিবাহী তামার বা অ্যালুমিনিয়ামের তারকে একই অক্ষে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে যে ধরনের ক্যাবল তৈরি করা হয় তাকে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল বলে। পেঁচানো তার দুটিকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের ক্যাবলে সাধারণত চার জোড়া তার ব্যবহার করা হয়,যার মধ্যে একটি কমন সাধা তার এবং অন্য তারের সাথে নীল, গোলাপী, সবুজ ও বাদামী এ চার রঙের প্লাষ্টিকের কোডযুক্ত তার থাকে। তারগুলো সংযোগের সময় ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮ নম্বরের ভিত্তিতে সংযোগ দিতে হয়। জোড়ার তার দুটির প্রতিটির পূরত্ব হয় 0.4 মি.মি থেকে 0.9 মি.মি.।এ ক্যাবলে ডেটা ট্রান্সমিশন লস অত্যন্ত বেশি এবং ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ 5MHz। এর ব্যান্ডউইথ 10Mbps থেকে 1Gbps হয়। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দুই প্রকার।যথা-
১.এসটিপি(Shielded Twisted Pair-STP)
২.ইউটিপি(Unshielded Twisted Pair-UTP)
এসটিপি(Shielded Twisted Pair-STP): 4টি শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল আলাদাভাবে প্লাষ্টিক জ্যাকেট দ্বারা আবৃত থাকে। ক্যাবলের প্রত্যেকটি জোড়া কালার কোডের মাধ্যমে পৃথক থাকে। এ ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ 16Mbps থেকে 500Mbps পর্যন্ত । STP ক্যাবলের স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে CAT-A6 জনপ্রিয়। STP ক্যাবলে ডেটাকে নয়েজ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতি জোড়া তার এলুমিনিয়াম ফয়েল ও প্রটেকটিভ কপার শিল্ডিং দ্বারা আবৃত থাকে।
ইউটিপি(Unshielded Twisted Pair-UTP): UTP ক্যাবলের সাহায্যে ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে ডেটা পাঠানো যায় না। এ ক্যাবলে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বাধা অনেক বেশি। এ ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ 10Mbps। UTP ক্যাবলের স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে CAT-5 ও CAT-6 খুবই জনপ্রিয়। এ ক্যাবলে ডেটাকে নয়েজ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতি জোড়া তার এলুমিনিয়াম ফয়েল ও প্রটেকটিভ কপার শিল্ডিং দ্বারা আবৃত থাকে না।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের সুবিধাসমূহ:
১. অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দামে সস্তা।
২.সল্প দূরত্বে ডেটা প্রেরণের জন্য বেশি উপযোগী।
৩.অ্যানালগ এবং ডিজিটাল উভয় ডেটা ট্রান্সমিশনে এ ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।
৪. সহজে বহন করা যায় এবং ইনস্টল করা সহজ।
৫.টেলিফোন সিস্টেমে সিগন্যালে কোন রকম পরিবর্তন ছাড়াই কয়েক কি.মি পর্যন্ত যেতে পারে।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের অসুবিধাসমূহ:
১.বেশি দূরত্বে ডেটা পাঠানোর জন্য রিপিটিার ব্যবহার করতে হয়।(২ কি.মি. পরপর)
২.১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে ডেটা প্রেরণ করা কঠিন।
৩.টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে নয়েজ বেশি হয়।
৪.ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত বেশি ।
৫. এর গঠন পাতলার কারনে সহজেই ভেঙে যওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের ব্যবহার:
১.লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ইথারনেটে।
২.টেলিফোন লাইনে।
৩.ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনে।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর কানেক্টর:
সাধারণত টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে RJ কানেক্টর ব্যবহার করা হয় যা দুই ধরনের। যথা-
১.টেলিফোন ইকুইপমেন্টসমূহ সংযোগ করতে চার পিন যুক্ত RJ11 কানেক্টর ব্যবহার করা হয়।
২.ল্যান বা ইথারনেট নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ছয় পিন যুক্ত RJ45 কানেক্টর ব্যবহার করা হয়।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল(Optical Fiber Cable):
সিলিকা, কাঁচ অথবা প্লাষ্টিকের এক ধরনের পাতলা স্বচ্ছ তন্তু(সুতা) দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান হয় তাকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলে। এ ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্নি ব্যবহার করা হয়। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কাজ করে।এটি ইনফ্রারেড আলোর রেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত স্বচ্ছ হওয়ার ফলে আলো পরিবহনের সময় এতে কোন শোষণ হয় না। ফলে বিশেষ কোন ক্ষতি ছাড়াই এর মধ্য দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্ব পর্যন্ত পাঠানো সম্ভব। এতে একসাথে লক্ষ লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানো সম্ভব। এ ক্যাবল দিয়ে অনেক ডেটা বিভিন্ন দেশে পাঠাতে সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করা হয়,তাই এক সাবমেরিন ক্যাবলও বলা হয়। এটি একটি নন-মেটালিক ক্যাবল। অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচের তন্তু হওয়ায় তড়িৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত। বর্তমানে যেসব অপটিক্যাল ফাইবার পাওয়া যায় তার ডেটা ট্রান্সমিশন হার 100Mbps থেকে 10Gbps।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের গঠন:
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ৩টি স্তরের সমন্বয়ে গঠিত। যথা-
১.কোর(Core)
২.ক্লাডিং(Cladding)
৩.জ্যাকেট(Jacket)
১.কোর(Core): কোর হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের সবচেয়ে ভিতরের ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ যা প্রধানত সিলিকা, মাল্টিকম্পোনেন্ট কাচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক ও অন্যান্য উপাদানের মিশ্রনে তৈরি। কোর আলোক সিগন্যাল সঞ্চালনের কাজ করে। কোরের প্রতিসরনাঙ্ক ক্লাডিংয়ের প্রতিসারনাঙ্কের তুলনায় বেশি হওয়ায় এর মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়। কোরের ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়। (1 মাইক্রোমিটার = 10-6 মিটার)
২.ক্লাডিং(Cladding): কোরের ঠিক বাইরের স্তরটি হচ্ছে ক্লাডিং(Cladding) যা কাচের তৈরি। ক্লাডিং এর ব্যাস ১২৫ মাইক্রোমিটার। ক্লাডিং কোর থেকে নির্গত আলোক রশ্নিকে প্রতিফলিত করে পূনরায় কোরে ফেরত পাঠায়। এই ক্লাডিং এর উপরে থাকে বাফার।
৩.জ্যাকেট(Jacket): অপটিক্যাল ফাইবার এর বাইরের প্লাষ্টিক দিয়ে মোড়ানো আবরণটিকে জ্যাকেট বলা হয়। এটি ক্লাডিং ও কোরকে আবৃত করে রাখে। এটি ফাইবার অপটিক তারকে ঘর্ষন, মরিচা, জলীয়বাষ্প থেকে রক্ষা করে। এর ব্যাস ৪০০ মাইক্রোমিটার।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের প্রকারভেদ:
গাঠনিক উপাদানের প্রতিসরানাঙ্কের উপর ভিত্তি করে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
১.স্টেপ ইনডেক্স ফাইবার(Step Index Fiber): এর কোরের প্রতিসরানাঙ্ক সর্বদা সমান থাকে।
২.গ্রেডেড ইনডেক্স ফাইবার(Graded Index Fiber): কোরের প্রতিসারানাঙ্ক কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি এবং এর ব্যসার্ধ্য বরাবর কমতে থাকে।
কোরের ব্যাস অনুযায়ী অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে আরো ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১.সিঙ্গেলমোড ফাইবার(Singlemode Fiber): কোরের ব্যাস সাধারণত ৮ থেকে ১২ মাইক্রোনের মধ্যে থাকলে সেটিকে সিঙ্গেলমোড ফাইবার বলা হয়। সিঙ্গেলমোড ফাইবারে ক্লাডিং এর ব্যাস ১২৫ মাইক্রোন, বাফারের ব্যাস ২৫০ মাইক্রোন এবং জ্যাকেটের ব্যাস ৪০০ মাইক্রোন। দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে এ ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।
২.মাল্টিমোড ফাইবার(Multimode Fiber): মাল্টিমোড ফাইবারে কোরের ব্যাস সাধারণত ১০ মাইক্রোন হয়ে থাকে। এ ফাইবারে একইসাথে একাধিক আলোক সংকেত প্রেরণের পথ থাকে এবং এসব পথ দিয়ে সকল সিগন্যাল একইসাথে গন্তব্যে পৌছাতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের সুবিধা/বৈশিষ্ট্য :
১.উচ্চ ব্যান্ডউইথ সম্পন্ন।
২.বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব(EMI) হতে মুক্ত।
৩.আলোর গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করে।
৪.আকারে ছোট, ওজন কম এবং সহজে বহনযোগ্য।
৫.ডেটা পরিবহণে কম শক্তি ক্ষয় করে।
৬.রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়।
৭.পরিবেশের চাপ,তাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
৮.ডেটা সংরক্ষনে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বেশি।
৯.এটিনুয়েশন ঘটে না।
১০.নেটওয়ার্ক ব্যাকবন হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের অসুবিধা:
১.ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইনস্টল করা বেশ কঠিন।
২.অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে দাম খুবই বেশি এবং ইনস্টলেশন খরচও বেশি।
৩.এটি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন।
৪.এ ক্যাবলকে U আকারে বাকাঁনো যায় না।
৫.এ ক্যাবলকে সহজে টুকরা(স্লাইসিং)করা যায় না। স্লাইসিং-এর জন্য দরকার হয় ইলেক্ট্রিক ফিউশন বা কেমিক্যাল এপোক্সি।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের ব্যবহার:
১.টেলিকমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে পৃথিবীর সকল মহাদেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন।
২.বিভিন্ন মেডিকেল ডিভাইস যেমন এন্ডোস্কোপ ইত্যাদি তৈরিতে।
৩.বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক সেন্সর তৈরিতে।
৪.সীমিতভাবে কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ পরিবহনে।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের কানেক্টর:
১.SC-কানেক্টর
২.MT-RJ-কানেক্টর
৩.ST-কানেক্টর
নিজে কর: কো-এক্সিয়াল,টুইস্টেড পেয়ার ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
দ্বিতীয় অধ্যায় লেকচার-০৫: ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম ও এর প্রকারভেদ।
Written by:
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284