ডেটা বা উপাত্তঃ
- Data শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Datumn এর বহুবচন।
- সুনির্দিষ্ট ফলাফল পওয়ার জন্য কাচাঁমাল হিসেবে প্রসেসিং এ ইনপুট করা বর্ণ, চিহ্ন, সংখ্য এগুলো হলো উপাত্ত।
- অন্যভাবে বলতে পারি তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে।
- ডেটা এক বা একাধিক বর্ণ , চিহ্ন ,সংখ্যা , ছবি, অক্ষর ইত্যাদি হতে পারে যা সুনির্দিষ্ট বা যথাযত অর্থ বা ভাব প্রকাশে সক্ষম নয়।
- যেমন-অ,ক,১,৫,A,B,f ইত্যাদি।
ডেটার প্রকারভেদ
ডেটা প্রধানত ৩ প্রকার। যথা-
১.নিউমেরিক ডেটাঃ যে সকল ডেটা দ্বারা কোন পরিমান বা সংখ্যা বুঝানো হয় তাই নিউমেরিক ডেটা।
২.বুলিয়ান ডেটাঃ কোন নির্দিষ্ট অবস্থার সত্য বা মিথ্যা অবস্থা বোঝাবার জন্য যে ডেটা ব্যবহৃত হয় তাকে বুলিয়ান ডেটা বলে।
৩.নন-নিউমেরিক ডেটাঃ নিউমেরিক ডেটা ও বুলিয়ান ডেটা ব্যতিত অন্য সকল ডেটাকে নন-নিউমেরিক ডেটা বলে।যেমন-ইমেজ,শব্দ,অক্ষর,বাক্য।
ইনফরমেশন বা তথ্য
কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান লাভ করার জন্য সে সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেটা বা উপাত্তকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকে তথ্য বা ইনফরমেশন বলে।
উপাত্ত ও তথ্যের মধ্যে পার্থক্য
উপাত্ত | তথ্য |
---|---|
১.সুনির্দিষ্ট ফলাফল পওয়ার জন্য কাচাঁমাল হিসেবে প্রসেসিং এ ইনপুট করা বর্ণ, চিহ্ন, সংখ্য এগুলো হলো উপাত্ত। | ১.আর ডেটাকে প্রক্রিয়াকরন করে যে অর্থবহ অবস্থা পওয়া যায় তাকে তথ্য বলে। |
২.তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে বলা হয় উপাত্ত। | ২.ডেটাকে প্রসেস করে তথ্য পাওয়া যায়। |
৩.ডেটা কোন কিছুর অর্থবহ বা পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিতে পারে না। | ৩. পক্ষান্তরে, তথ্য যে কোন বিষয় সম্পর্কে র্ণাঙ্গ ধারণা দিতে পারে। |
৪.উপাত্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে না। | ৪.তথ্য উপাত্তের উপর নির্ভর করে। |
৫.সকল তথ্যই ডেটা । | ৫. কিন্তু সকল ডেটা তথ্য নয়। |
তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পরিচয় , প্রকারভেদ, অবদান ও উপাদানসমূহ
যোগাযোগ:যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব তাকে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বলে। যেমন-মোবাইল।
প্রযুক্তিঃ বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্র প্রয়োগ করে যখন কোন কিছু উদ্ভাবন করা হয়, তখন সেই উদ্ভাবনকে বলা হয় প্রযুক্তি। যেমন- মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি হল বিভিন্ন প্রযুক্তি। অন্যভাবে বলা যায়, যে কোন যন্ত্র ও প্রাকৃতিক উপাদানের সম্বন্ধে অর্জিত জ্ঞান ও তা দক্ষভাবে ব্যবহারের ক্ষমতাকে প্রযুক্তি বলা হয়।
তথ্য প্রযুক্তি: তথ্য শব্দটির ইংরেজি পরিভাষা হলো ‘Information’ । যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকরণ ও ব্যবস্থাপনা করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বা সংক্ষেপে আইটি বলা হয়।
যোগযোগ প্রযুক্তি: যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব তাকে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বলে। আর এই ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।
তথ্য প্রযুক্তির অবদানঃ
আধুনিক ক্রমবিকাশে তথ্য প্রযুক্তির অবদান অপরিসীম। নিচে তথ্য প্রযুক্তির অবদানসমূহ উল্লেখ করা হলো-
১.অপচয় রোধ করে এবং সময়সাশ্রয়ী হয়।
২.মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটায়।
৩. তথ্যের প্রাপ্যতা সহজ করে।
৪.ফোন,ফ্যাক্স,ইন্টারনেট,ই-মেইল,এসএমএস,এমএমএস দিয়ে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ সম্ভব।
৫.সর্বক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৬.ব্যবসা বানিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৭.ই-কমার্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি পন্যের বাজার সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
৮.ঘরে বসে বিদ্যুৎ,পানি,গ্যাস ও ফোনের বিল দেওয়া যায়।
৯.সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সেবা ও যোগাযোগ ঘরে বসেই সম্ভব।
১০.ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।
তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত উপাদানসমূহ-
১.কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি
২.রেডিও,টেলিভিশন,ফ্যাক্স
৩.স্যাটেলাইট
৪.ইন্টারনেট
৫.মডেম
Written by,
Author at www.ictbeach.com
Email:contact@ictbeach.com
Cell: +8801719-686168