ই-লানিং(e-learning) সার্ভিস:
ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাই হচ্ছে ই-লানিং। ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রযুক্তির সাহায্যে ঘরে বসে শিক্ষা দেওয়া ও নেওয়ার পদ্ধতিটাকে ই-লার্নিং (e-learning) বলে। অথবা,ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ই-লার্নিং(e-learning) বলে।
E-learning পদ্ধতিতে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে জানা বা শিক্ষা উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে। বর্তমানে পড়ালেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-লার্নিং পোর্টাল চালু হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পছন্দের বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। এদের কিছু সার্ভিস বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। যেমন- বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জনপ্রিয় সাইট রাফ খাতা (www.rafkhata.com) এবং আইসিটি শিক্ষার জনপ্রিয় সাইট www.edupointbd.com এবং www.habibictcare.com ।
বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কোর্সসমূহ নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে অনলাইনে করার সুযোগ দেয়। তাই ঘরে বসেই বিদেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
ই-লার্নিং-এর সুবিধা/ব্যবহার:
১.শারীরিকভাবে শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত হতে হয় না।
২.শিক্ষা উপকরনগুলো ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড ও সংরক্ষন করে রাখা যায়।
৩.সময় ও খরচ কমিয়ে দেয়।
৪.একসাথে অনেক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা যায়।
৫.বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মচারীদের প্রশিক্ষন সংক্রান্ত কার্যক্রমে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।
ই-লার্নিং-এর অসুবিধাসমূহ:
১.উন্নত ইন্টারনেট ও ডিভাইসের প্রয়োজন।
২.মানবীয় উপাদানের অনুপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
৩.ই-লার্নিং সম্পর্কে এখনো জনসচেতনার অভাব রয়েছে।
এম লার্নি: এম লানিং (মোবাইল লার্নিং) হলো ই-লার্নিং এর একটি পদ্ধতি। এতে যে কোনো স্থানে বসে যেমন গাড়িতে বা ঘরের বাইরে বসে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্ট ফোন, নোটবুক, ই-বুক রিডার ইত্যাদি প্রযুক্তি ডিভাইস ব্যবহার করে এম-লার্নিং করতে পারে।
ডিজিটাল হোয়াইট বোর্ড: এটি ই-লার্নিং এর ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর একটি হোয়াইট বোর্ড। এখানে লিখিত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টওে প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
ই-বুক: ই-বুক হলো প্রিন্টকৃত বইয়ের ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল ভার্সন যেটি কম্পিউটার বা বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত কোনো বহনযোগ্য ডিভাইসে পাঠ করা যায়।
ই-বুকের জনক: মাইকেল এস হার্ট
মাইকেল এস হার্ট হলেন একজন আমেরিকান লেখক। তিনি ১৯৪৭ সালের ৮ মার্চ ওয়াশিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে ই-বুকের আবিষ্কারক বা জনক বলা হয়, কেননা তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনামূল্যে ই-বুক বিতরণের প্রথম প্রজেক্ট গুটেনবার্গ-এর উদ্যোক্তা ছিলেন। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দূরশিক্ষণ (Distance Learning):
দূরশিক্ষণ শিক্ষা প্রদানের এমন একটি প্রথা যেখানে একজন শিক্ষার্থী প্রচলিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না হয়েও ঘরে বসে ইন্টারনেট, ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্সিং, চ্যাট, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্রভৃতি কম্পিউটারভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জনে সক্ষম হয়।
১৮৪০ সালে Sir Issac Pitman দূরশিক্ষণের ধারণা প্রবর্তন করেন। এর ফলে সরাসরি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে (যাদের এ সুযোগ রয়েছে) না যেয়েও নিজ অবস্থানে থেকে সাশ্রয়ে পছন্দ অনুযায়ী বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করতে পারে।
সুতরাং এক কথায় দূরশিক্ষণে তথ্য প্রযুক্তির অবদান হলো ঘরে বসে অনলাইনে পৃথিবীর যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস, পরীক্ষা দেওয়া এবং উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি অর্জন করা।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ,ভূমিকা বা সুফল:
১.পেশাদার দক্ষ শিক্ষক তৈরি: পাঠ্যক্রম তৈরি, শিক্ষাদানের তথ্য সংগ্রহ, শিক্ষাদানে বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যবহার, ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ, শিক্ষকদের পারস্পারিক যোগাযোগ ও মতামত শেয়ার, অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা ইত্যাদি মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা অনেক বৃদ্ধি পায়।
২.আকর্ষনীয় পাঠদান: মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে ছবি,অডিও,ভিডিও,অ্যানিমেশন প্রভৃত্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লাসরুমে আকর্ষনীয় ও সহজবোধ্যভাবে পাঠদান করা যায়।
৩. ফলাফল মূল্যায়ন: এখন বাংলাদেশের সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল কম্পিউটারে সংরক্ষন ও প্রকাশ হয়ে থাকে বিধায় মেধার মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশ বেশি শিক্ষাবান্ধব হয়েছে।
৪. শিক্ষা উপকরণ তৈরি: আইসিটি ব্যবহারের ফলে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত ও তা ব্যবহারের মাধ্যমে সফল ও আকর্ষনীয়ভাবে ক্লাসে পাঠদান করা যায়।
৫. শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা: ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, পরীক্ষার ফলাফল, সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন নোটিস দেওয়াসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষন ও ব্যবস্থাপনায় আইসিটি ব্যবহার হয়। তাই শিক্ষার্থীদের অতীত ও বর্তমান এর যেকোন তথ্য খুব সহজে খুঁজে বের করা যায়।
Written by,
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284