তৃতীয় অধ্যায় লেকচার-১৪: এনকোডার এবং ডিকোডার এর আলোচনা।

Encoder

এনকোডার (Encoder)

যে ডিজিটাল বর্তনী মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রুপান্তর করে তাকে Encoder বলে। এটি আনকোডেড ডেটাকে কোডেড ডেটায় পরিণত করে।

⇒ এনকোডারে 2n সংখ্যক ইনপুট দিলে আউটপুট হবে n সংখ্যক।

8 টু 3 লাইন অক্টাল এনকোডার এর বর্ণনা :

ব্লকডায়াগ্রাম :

সত্যক সারণী :

ইনপুট আউটপুট
I0 I1 I2 I3 I4 I5 I6 I7 A B C
1 0 0 0 0 0 0 0 0 0 0
0 1 0 0 0 0 0 0 0 0 1
0 0 1 0 0 0 0 0 0 1 0
0 0 0 1 0 0 0 0 0 1 1
0 0 0 0 1 0 0 0 1 0 0
0 0 0 0 0 1 0 0 1 0 1
0 0 0 0 0 0 1 0 1 1 0
0 0 0 0 0 0 0 1 1 1 1

 

আউটপুট সমীকরণ :

A=I4+I5+I6+I7

B=I2+I3+I6+I7

C=I1+I3+I5+I7

লজিক সার্কিট :

 

4 টু 2 লাইন এনকোডার এর বর্ণনা :

ব্লকডায়াগ্রাম :

সত্যক সারণী :

ইনপুট আউটপুট
E0 E1 E2 E3 A B
1 0 0 0 0 0
0 1 0 0 0 1
0 0 1 0 1 0
0 0 0 1 1 1

 

আউটপুট সমীকরণ :

A=E2+E3

B=E1+E3

লজিক সার্কিট :

এনকোডারের বৈশিষ্ট্য :

  • সব ইনপুট একই সময়ে একই সাথে শূন্য (0) হতে পারে না।
  • একটি ইনপুট 1 হলে বাকি ইনপুটগুলো শূন্য (0) হবে।

 

এনকোডারের ব্যবহার :

  • বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। যেমন-কী-বোর্ড, মাউস, বিভিন্ন টেলিফোন সেট ইত্যাদি।
  • দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় এবং বিভিন্ন কোডে রুপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
  • আলফানিউমেরিক কোডকে ASCII ও EBDCIC কোডে রুপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
  • রোবট কন্ট্রোল করার ক্ষেত্রে এনকোডার ব্যবহৃত হয়।

 

ডিকোডার (Decoder)

যে ডিজিটাল বর্তনী কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের ভাষায় রুপান্তর করে তাকে ডিকোডার বলে। এটি কোডেড ডেটাকে আনকোডেড ডেটায় পরিণত করে।

⇒ ডিকোডারে n সংখ্যক ইনপুট দিলে আউটপুট হবে 2n সংখ্যক।

 

3 টু 8 লাইন ডিকোডার এর বর্ণনা :

ব্লকডায়াগ্রাম :

সত্যক সারণী :

ইনপুট আউটপুট
A B C D0 D1 D2 D3 D4 D5 D6 D7
0 0 0 1 0 0 0 0 0 0 0
0 0 1 0 1 0 0 0 0 0 0
0 1 0 0 0 1 0 0 0 0 0
0 1 1 0 0 0 1 0 0 0 0
1 0 0 0 0 0 0 1 0 0 0
1 0 1 0 0 0 0 0 1 0 0
1 1 0 0 0 0 0 0 0 1 0
1 1 1 0 0 0 0 0 0 0 1

 

আউটপুট সমীকরণ :

D0=A.B.C

D1=A.B.C

D2=A.B.C

D3=A.B.C

D4=A.B.C

D5=A.B.C

D6=A.B.C

D7=A.B.C

 

লজিক সার্কিট :

 

2 টু 4 লাইন ডিকোডার এর বর্ণনা :

ব্লকডায়াগ্রাম :

সত্যক সারণী :

ইনপুট আউটপুট
A B D0 D1 D2 D3
0 0 1 0 0 0
0 1 0 1 0 0
1 0 0 0 1 0
1 1 0 0 0 1

 

আউটপুট সমীকরণ :

D0=A.B

D1=A.B

D2=A.B

D3=A.B

 

লজিক সার্কিট :

 

ডিকোডারের বৈশিষ্ট্য :

  • সব আউটপুট একই সময়ে একই সাথে শূন্য (0) হতে পারে না।
  • একটি আউটপুট 1 হলে বাকি আউটপুটগুলো শূন্য (0) হবে।

 

ডিকোডারের ব্যবহার :

  • বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লেতে ব্যবহৃত হয়। যেমন-মনিটরে এবং ভিডিও কার্ডে।
  • বাইনারি সংখ্যাকে সমতুল্য দশমিক সংখ্যায় রুপান্তর করে।
  • ASCII ও EBDCIC কোডকে আলফানিউমেরিক কোডে রুপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
  • জটিল কোডকে সহজ কোডে রুপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
  • কম্পিউটারের ভাষাকে মানুষের ভাষায় রুপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।

 

এনকোডার ও ডিকোডারের পার্থক্য

এনকোডার ডিকোডার
 ১.যে ডিজিটাল বর্তনী মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রুপান্তর করে তাকে এনকোডার বলে।  ১.যে ডিজিটাল বর্তনী কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের ভাষায় রুপান্তর করে তাকে ডিকোডার বলে।
 ২.এনকোডারে 2n সংখ্যক ইনপুট দিলে আউটপুট হবে n সংখ্যক।  ২.ডিকোডারে n সংখ্যক ইনপুট দিলে আউটপুট হবে 2n সংখ্যক।
 ৩.বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়।  ৩.বিভিন্ন আউটপুট ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়।
 ৪.দশমিক সংখ্যাকে সমতুল্য বাইনারি সংখ্যায় রুপান্তর করে।  ৪.বাইনারি সংখ্যাকে সমতুল্য দশমিক সংখ্যায় রুপান্তর করে।
 ৫.এনকোডার আনকোডেড ডেটাকে কোডেড ডেটায় পরিণত করে।  ৫.ডিকোডার কোডেড ডেটাকে আনকোডেড ডেটায় পরিণত করে।

 

 

তৃতীয় অধ্যায় লেকচার-১৩: সার্বজনীন গেটের (NAND & NOR) প্রমাণ।



Written by:

Habibur Rahman(Habib Sir)
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *