Telemedicine কি?
চিকিৎসা: অসুস্থ ব্যক্তি বা রোগীর রোগ নির্নয়, রোগ নির্নয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, প্রয়োজনে অপারেশন ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগ মুক্তির সার্বিক ব্যবস্থাকে বলা হয় চিকিৎসা। এখন আমরা চিকিৎসার একটি পদ্ধতি Telemedicine সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো-
বিশ্বগ্রাম ধারণায় বর্তমানে চিকিৎসা সেবা প্রদান বা গ্রহনের জন্য কোন ডাক্তার বা রোগীকে এখন আর গ্রাম থেকে শহরে কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হচ্ছে না। একজন চিকিৎসক বিশ্বের যেকোন অবস্থানে থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে দূরবর্তী অবস্থানে অবস্থিত যেকোন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে রোগী সেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে উপকৃত হচ্ছে।
আর এই “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোন ভৌগোলিক দুরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্নয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে সাস্থসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন (telemedicine) বলে”
টেলিমেডিসিনের(telemedicine) সুবিধা:
১. বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বার, ক্লিনিক বা হাসপাতালে না গিয়ে ঘরে বসেই ডাক্তারের সেবা পাওয়া যায়।
২.স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়।
৩.ডাক্তাররা অন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারে।
৪.দেশের বাহিরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণ করা যায়।
৫.সহজে রোগ বিশ্লেষণ করা যায়।
৬.রোগীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
বাংলাদেশে টেলিমেডিসিনের সার্বিক ব্যবস্থা:
টেলিমেডিসিন(telemedicine) পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। টেলিমেডিসিন বাংলাদেশে এখনো সবার কাছে একটি নতুন ধারনা। এমনকি অনেকে এটার নামও জানেনা। এই সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন যা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এবং এটার দায়িত্বে থাকেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
দিন বা রাত যেকোন সময় মানুষ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা বা পরামর্শ নিতে পারেন।বাংলাদেশে এই টেলিমেডিসিনের মূল কথা হলো, তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সাস্থসেবাকে সহজেই মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া। বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলাগুলোতে সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ধীরে ধীরে এই টেলিমেডিসিন সেবা চালু হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রথম টেলিমেডিনসন সেবা চালু হয় যশোর ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে। বর্তমানে দেশের ২২ টি ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন চালু আছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর সময় নানাভাবে দেশবাসীকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হয়েছে।
ইলেকট্রনিক হেলথ্ কার্ড বা EHR :
কোন জনগোষ্টির সাস্থ বিষয়ক তথ্যগুলো সুনির্দিষ্ট উপায়ে সংগ্রহ করে তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষন করার প্রক্রিয়াকে ইলেকট্রনিক হেলথ্ কার্ড বা EHR বলে।
প্রথম অধ্যায়ের ৪নং লেকচার দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Written by:
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284
Very good lecture???