আচরণগত বৈশিষ্ট্যের বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি:
১. ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেম (Voice Recognition System): প্রত্যেকের কণ্ঠের ধ্বনির বৈশিষ্ট্য, সুরের উচ্চতা, সুরের মূর্ছনা, স্পন্দনের দ্রুততা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা।
২. সিগনেচার ভেরিফিকেশন সিস্টেম (Signature Verification System): হাতের দস্তখত বিশ্লেষণ করা।
৩. টাইপিং কীস্ট্রোক রিকগনিশন সিস্টেম (Typing Keystroke Recognition System ): নির্দিষ্ট কোনো পাসওয়ার্ড যা টাইপ করে এন্ট্রি করা হয় এবং বিশ্লেষণ করা।
ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেম (Voice Recognition System)
কন্ঠস্বরকে ডেটায় রূপান্তর করে কম্পিউটারের ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে ভয়েস ইনপুট নিয়ে আগের সংরক্ষিত ভয়েসের সাথে মিলিয়ে দেখে শনাক্তকরণ পদ্ধতি হলো ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেম।
ভয়েস রিকগনিশন (Voice Recognition) বায়োমেট্রিক্সের সুবিধা:
১. মাত্র ৫ মিনিটে রিকগনিশন সম্ভব।
২. সস্তা প্রযুক্তি।
৩. উচ্চমানের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা।
ভয়েস রিকগনিশন (Voice Recognition) বায়োমেট্রিক্সের অসুবিধা:
১. অ্যাকিউরিসি এর পরিমাণ নিম্ন।
২. অনেক সময় ভয়েস নকল করা সম্ভব।
৩. অসুস্থতার জন্য গলা বসে গেলে এটি ঠিকমতো কাজ করবে না।
ভয়েস রিকগনিশন (Voice Recognition) বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহার:
১। বড় বড় প্রতিষ্ঠান সময় ও উপস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যবহার করে থাকে।
২। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেলিফোনের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে Voice Recognition সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে।
৩। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য এ পদ্ধতি ব্যবহার করে।
সিগনেচার ভেরিফিকেশন সিস্টেম (Signature Verification System)
এ পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর হাতের স্বাক্ষরকে পরীক্ষা করে সত্যতা যাচাই করা হয়। এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের কলম এবং প্যাড ব্যবহার করে স্বাক্ষরের আকার, লেখার গতি, সময় এবং কলমের চাপকে পরীক্ষা করা হয়। অন্যান্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির চেয়ে খরচ কম।
সিগনেচার ভেরিফিকেশন এর সুবিধা
১. মাত্র ৫ মিনিটে রিকগনিশন সম্ভব।
২. সস্তা প্রযুক্তি।
৩.ইহা একটি সর্বস্থরের গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি।
সিগনেচার ভেরিফিকেশনে বায়োমেট্রিক্সের অসুবিধা
১. সঠিকভাবে শনাক্তকরণের ব্যাপারটি একটু কঠিন।
২. সিগনেচার প্যাটার্ন না মিললে কাজ করবে না।
৩.যারা স্বাক্ষর জানে না তাদের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় না।
সিগনেচার ভেরিফিকেশনে বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহার
স্কুল, কলেজ, ব্যাংক-বীমা, সরকারী অফিস-আদালতে ব্যক্তি সনাক্তকরনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
টাইপিং কীস্ট্রোক রিকগনিশন সিস্টেম
যখন কোন ব্যক্তি কম্পিউটার কী-বোর্ডে কাজ করে, তখন প্রত্যেক কী-তে চাপ দিয়ে ছেড়ে দিলে তা সঠিক বিবরণ দেয়। এতে নির্দিষ্ট কোন পাসওয়ার্ড যা টাইপ করে এন্ট্রি করা হয় এবং বিশ্লেষণ করা হয়। এ পদ্ধতে ব্যবহারকারীর টাইপিং ধরণ ও কী-বোর্ডের গতি বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করা হয়।
এ পদ্ধতিতে Dwell time ও Flight time ব্যবহৃত হয়।
যতক্ষন সময় কী টি চাপ দেওয়া হয় সেটি হলো Dwell time এবং একটি কী ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী কী চাপার মাঝের সময়ই হলো Flight time
সুবিধা: এ পদ্ধতিতে ডেটা বিশ্লেষণ করা সহজ।
অসুবিধা: এক্ষেত্রে অনেক সময় পাসওয়ার্ড এলোমেলো হয়ে যায়।
ব্যবহার:
১. কী-বোর্ড ব্যবহার করে কাজের মাত্রা নির্ধারণ এবং
২.কী-এর গতি নির্ধারণ করে তথ্য পাওয়া যায়।
প্রথম অধ্যায় লেকচার-১২: দেহের গঠন ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যর বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিসমূহ।
Written by,
Habibur Rahman(Habib Sir)Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532, +8801913865284