দ্বিতীয় অধ্যায় লেকচার-০৮:ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম (Bluetooth, Wi-Fi, Wi-MAX)

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম(Wireless Communication System)

কোন প্রকার তার ব্যবহার না করে একাধিক ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান তথা যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এর সাহায্যে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে অবস্থান করে একে অন্যের সাথে কথা বলা, টেক্সট ম্যাসেজিং, চ্যাটিং ইত্যাদি কাজ কম খরচে খুব সহজেই করা যায়। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এর নেটওয়ার্ক ব্যাপ্তি কয়েক মিটার থেকে কয়েক হাজার কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে।

এই ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সাহায্যে বিভিন্ন রিমোট কন্ট্রোল, মাউস, কি-বোর্ড, হেডফোন, স্পিকার, প্রিন্টার, মোবাইল ফোন, রেডিও, কর্ডলেস টেলিফোন, সেলুলার নেটওয়ার্ক, শর্ট-রেঞ্জ পয়েন্ট টু পয়েন্ট কমিউনিকেশন, মাইক্রোফোন, রোবট, ওয়্যারলেস ইউএসবি, পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক, ব্লুটুথ, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক, ওয়াইফাই ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের সুবিধা:
১.যে কোন স্থান হতে চলমান অবস্থায় ইন্টারনেট একসেস করা যায়।
২. নয়েজের প্রভাব খুব কম।
৩.ক্যাবলের ঝামেলা ও অতিরিক্ত খরচ থেকে রক্ষা পওয়া যায়।
৪.একটি ডিভাইস অনেক ব্যবহারকারী একইসাথে ব্যবহার করতে পারে।
৫.জিপিএস এর মাধ্যমে গাড়ি,বিমান,জাহাজ এবং ব্যবহারকারীর অবস্থান চিহ্নিত করা যায়।

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের অসুবিধা:
১.নেটওয়ার্ক বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২. এ সিস্টেমে ত্রুটি নির্নয় করা কঠিন।
৩.ডেটা চলাচলে বাধা পেলে নেটওয়ার্ক দক্ষতা কমে যায়।

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা(ব্যবহার):
১.যে সকল স্থানে ক্যবল ব্যবহার সম্ভব না সেই সকল স্থানে যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
২.দূর্যোগ ও যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য বেশি উপযোগী।
৩.নেটওয়ার্ক কভারেজের মধ্যে চলমান অবস্থায় যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
৪. রেডিও, টিভির ব্রডকাস্টিং এ ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ব্যবহার করা হয়।
৫.যে কোন স্থান থেকে ভিডিও সম্প্রচার ও ইন্টারনেট সুবিধা পেতে।
৬.অপরাধীর অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য।
৭.কোন যানবহন ট্রাক করা বা ভ্রমনকারীর অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য।
৮.একই সময়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
৯. গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার কাজে।
১০.উড়োজাহাজ বা সমুদ্রগামী জাহাজ চালনায় ভূপৃষ্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে।

কয়েকটি ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম

এনএফসি(NFC-Near Field Communication): রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে খুব কাছাকাছি দূরত্বে(৪ থেকে ১০ সে.মি.) দুটি ডিভাইসের মধ্যে তারবিহীন ডেটা যোগাযোগের একসেট প্রোটোকলকে এনএফসি বলে । এর স্ট্যান্ডার্ড ISO/IEC 14443 এবং ISO/IEC 18000-3 ।

এনএফসি প্রযুক্তির ব্যবহার:
১.ক্রেডিট কার্ড
২.ডেবিট কার্ড
৩.হেলথ কার্ড
৪.বাস বা ট্রেনের ভাড়া পরিশোধের কার্ড
৫.টোল পরিশোধের কার্ড
৬.সিকিউরিটি পাস হিসেবেৎ
৭.মোবাইল ফোনে

জিগবি(Zigbee): জিগবি হলো একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করার স্টান্ডার্ড ভিত্তিক আদর্শ মানের প্রযুক্তি। হোম অটোমেশন, বিল্ডিং বা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল অটোমেশন এবং বিভিন্ন মেডিকেল ডিভাইসে মেডিকেল ডেটা সংগ্রহে জিগবি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে IOT(Internet of things) বাস্তবায়নে কম বিদ্যুৎ শক্তি ও কম ব্যান্ডউইথের চাহিদা সম্পন্ন ডিভাইসের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে জিগবি প্রয়োগ করা হয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ১০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে বিদ্যুৎ শক্তি প্রেরণ করা যায়।

হটস্পট(Hotspot): পরস্পর সংযুক্ত ইন্টারনেট প্রবেশ বিন্দু বা এক্সেস পয়েন্টগুলোকে হটস্পট বলে । হটস্পট হলো এক ধরনের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ও ডিভাইস(ল্যাপটপ, নোটবুক,ট্যাব,স্মার্টফোন, পিডিএ) ইত্যাদিতে ইন্টারনেট সংযুক্ত করা।

পাবলিক হটস্পট সাধারণত রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, পাম্প স্টেশন, হোটেল, হাসপাতাল, সুপার মার্কেট, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কফি হাউস, লাইব্রেরী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যায়। হটস্পট তৈরির ক্ষেত্রে বর্তমানে তিনটি প্রযুক্তি খুব জনপ্রিয়। জনপ্রিয় হটস্পট প্রযুক্তি তিনটি হলো-
১.ব্লুটুথ(Bluetooth)
২.ওয়াইফাই(Wi-Fi)
৩.ওয়াইম্যাক্স(Wi-MAX)

ব্লুটুথ(Bluetooth): স্বল্প দূরত্বের ভিতরে বিনা খরচে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য বহুলপ্রচলিত ওয়্যারলেস প্রযুক্তিই হলো ব্লুটুথ(Bluetooth)। ব্লুটুথের স্ট্যান্ডার্ড বা প্রযুক্তিগতভাবে IEE 802.15 নামে পরিচিত। ব্লুটুথ প্রযুক্তির সাহায্যে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে পিকোনেট বলে। বর্তমানে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ, নোটবুক, মেডিকেল ডিভাইস ও বাসাবাড়ির বিনোদনের অনেক ডিভাইসে এই প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

এর কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ থেকে ১০০ মিটার হয়ে থাকে। ১৯৯৪ সালে টেলিকম ভেন্ডর এরিকসন ব্লুটুথ উদ্ভাবন করে। দশম শতাব্দির ডেনমার্কের রাজা হারাল্ড ব্লুটুথ এর নামানুসারে এ প্রযুক্তিটির নাম রাখা হয়েছে ব্লুটুথ।

ব্লুটুথ এর ব্যবহার:
১.ফোন থেকে কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
২.জিপিএস রিসিভার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, বারকোড স্ক্যানার ও ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইসগুলোতে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
৩.যে স্থানে ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয় সেখানে নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে Bluetooth ব্যবহৃত হয়।
৪.ডেডিকেটেড টেলিহেলথ ডিভাইসগুলোতে হেলথ সেন্সর ডেটাগুলোর শর্ট রেঞ্জ ট্রান্সমিশনে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
৫.পিসির ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলোর সাথে তারবিহীন যোগাযোগে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
৬.কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য ডিভাইসগুলোর সংযোগ ঘটিয়ে তথ্য আদান প্রদান করা যায়।

ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট্য:
১.Bluetooth-এর স্ট্যান্ডার্ড IEE 802.15
২. ব্লুটুথ ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে।
৩.একটি পিকোনেটের আওতায় ৮ টি স্লেভ বা যন্ত্রের সাথে সিগন্যাল আদান প্রদান করতে পারে।
৪. এর ব্যান্ডউইথ 1Mbps
৫.ব্লুটুথ ব্যবহারকারীর মধ্যস্থতা ছাড়ায় অটো কনফিগার করতে পারে।

ব্লুটুথ এর সুবিধা:
১. এর বিদ্যুৎ খরচ খুব কম।
২.এটি ডিভাইস যুক্ত করার সাথে সাথেই কাজ করে।
৩. দেয়াল বা অন্য কোন বাধা ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।
৪.বিনা খরচে ১ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়।
৫.নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রনের জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়।

ব্লুটুথ এর অসুবিধা:
১. ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে ডেটা প্রেরন করা যায় না।
২. ব্লুটুথ ইন্টারনেট গতি কম।
৩. ডেটা ট্রান্সফারে সিকিউরিটি কম।
৪. ব্লুটুথ অপশনটি মোবাইলে অন করা থাকলে ব্যাটারির চার্জ খরচ হতে থাকে।
৫.ডেটা ট্রান্সফার রেট তুলানামূলক কম।

ওয়াইফাই(Wi-Fi)
Wi-Fi শব্দের পূর্ণরুপ হলো Wireless Fidelity(ওয়্যারলেস ফিডেলিটি)। উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগসমূহ সরবরাহের জন্য রেডিও ওয়েভ ব্যবহৃত তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তিকে Wi-Fi বলে । এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) তৈরি করা যায়। এর সাহায্যে বহনযোগ্য ডিভাইসকে খুব সহজে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করা যায়। ওয়াইফাই এর স্ট্যান্ডার্ড বা প্রযুক্তিগতভাবে IEE 802.11 নামে পরিচিত। ডাচ কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভিক্টর ভিক হেরেস-কে ওয়াইফাই(Wi-Fi) এর জনক বলা হয়। ইন্টারনেট একসেসের জন্য ওয়াইফাই নেটওয়ার্কভুক্ত এলাকাকে হটস্পট বলা হয়। এর ডেটা কমিউনিকেশন গতি খুবই কম এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থা দূর্বল।

Wi-Fi এর বৈশিষ্ট্য:
১.ওয়াই-ফাই IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তি।
২.সিগন্যাল নয়েজ সর্বোচ্চ 10 db
৩. ওয়াই-ফাই রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে থাকে।
৪.Wi-Fi সাধারণত 2.4GHz-5GHz ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে।
৫. ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হাফ-ডুপ্লেক্স।
৬. এর ব্যান্ডউইথ 10Mbps-50Mbps
৭.এর কভারেজ এরিয়া ইনডোরে ২০ মিটার এবং আউটডোরে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

Wi-Fi এর সুবিধা:
১.Wi-Fi ব্যবহারের জন্য কোন লাইসেন্স বা সরকারী অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
২. যে কোন মানের Wi-Fi বিশ্বের যে কোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়।
৩. ল্যান এর চেয়ে দামে সস্তা।
৪.ডিভাইসের মূল্য দিন দিন কমে যাচ্ছে।
৫.এটি তারবিহীন ব্যবস্থা এবং এর সাহায্যে সহজেই ইন্টারনেট একসেস করা যায়।
৬.বাসাবাড়ি, রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, হাসপাতাল, সুপার মার্কেট, কফি হাউস, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
৭.একটি রাউটার এর আওতার মধ্যে থাকা সকল ডিভাইসগুলোতে ইন্টারনেট একসেস দেওয়া যায়।

Wi-Fi এর অসুবিধা:
১.ডেটা ট্রান্সফার গতি মধ্যমানের/ধীরগতি সম্পন্ন।
২. নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া কভারেজ পওয়া কঠিন/পওয়া যায় না।
৩. নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দূর্বল।
৪. বিস্তৃত এলাকা ব্যাপি ডেটা আদান-প্রদান করা যায় না।
৫.অনেক সময় সিগন্যাল জ্যামের সৃষ্টি হয়।
৬.অজ্ঞাত বা অননুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে।
৭.বিদ্যুৎ খরচ অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় বেশি।

Wi-Fi এর ব্যবহার:
Wi-Fi সাধারণত বাসাবাড়ি,অফিস-আদালত, রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, পাম্প স্টেশন, হোটেল, হাসপাতাল, সুপার মার্কেট, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কফি হাউস, লাইব্রেরী, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যবহার হয়ে থাকে।

শিক্ষার্থীদের কাজ: Wi-Fi ও Bluetooth এর মধ্যে পার্থক্য লিখ।

 

ওয়াইম্যাক্স(Wi-MAX)
Wi-MAX এর পূর্ণরুপ হলো Worldwide Interoperability for Microwave Access । যে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ ব্যবহার করে ব্যাপক এলাকায় ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সুবিধা দেয় তাকে Wi-MAX বলে । এটি তারবিহীন ব্যবস্থায় ১০ কি.মি. থেকে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে। প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে সাধারণত ব্রডব্যান্ড সেবার কথা কল্পনাও করা যায় না,সেখানেও বিনা তারে Wi-MAX এর মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদান করা যায়। বিশেষ কলে উচু-নিচু পাহাড়ি অঞ্চল কিংবা দুর্গম এলাকা যেখানে ক্যাবল স্থাপন করা যায় না, সেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য Wi-MAX হলো সবচেয়ে উত্তম পন্থা। ওয়াইম্যাক্স IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তি। ওয়াইম্যাক্স এর প্রধানত দুটি অংশ রয়েছে। যথা-
১.Wi-MAX বেস স্টেশন: এটি ইনডোর ও আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। প্রতিটি বেস স্টেশনের কভারেজ এরিয়া ৫০ থেকে ৮০ কি.মি. পর্যন্ত। শতাধিক ব্যবহারকারী একক বেস স্টেশন ব্যবহার করতে পারে।

২.Wi-MAX রিসিভার: কমিউটারে ওয়াইম্যাক্স রিসিভার সংযুক্ত করে দিতে হয় , এর সাথে একটি এন্টেনা থাকে। এর কভারেজ এরিয়া ১০ থেকে ৬০ কি.মি.।

Wi-MAX এর বৈশিষ্ট্য:
১. এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের WMAN
2.কভারেজ এরিয়া ১০ থেকে ৬০ কি.মি.। [৮০০০ বর্গ কি.মি. পর্যন্ত কভারেজ দিতে পারে]
৩.সিগন্যাল নয়েজ সর্বোচ্চ 7 db
৪.ডেটা স্থানান্তরের গতি 70/80Mbps
৫.শক্তিশালী এনক্রিপশন থাকায় ডেটার নিরাপত্তা বেশি।
৬. Wi-MAX ফুল ডুপ্লেক্সিং মোডে কাজ করে।
৭.এই প্রযুক্তিতে মাইক্রোওয়েব ব্যবহৃত হয়।

Wi-MAX এর সুবিধা:
১. একক একটি স্টেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট সেবা দেয়া যায়।
২. ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন দুটোই হতে পারে।
৩. প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেবা পওয়া যায়।
৪.বহনযোগ্য ডিভাইসে সংযোগ প্রদান করা যায়।
৫.কোয়ালিটি অব সার্ভিসের নিশ্চয়তা দেয়।
৬. অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় খরচ কম।
৭.সিগন্যাল নয়েজের পরিমান কম।
৮.মাল্টিফাংশনাল সুবিধা প্রদান করে।
৯.নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা প্রদান করে।
১০.পোর্টেবিলিটি সুবিধা পাওয়া যায়(এন্টিনাসহ WiMAX রিসিভার এর জন্য)।

Wi-MAX এর অসুবিধা:
১.দূরত্ব বেশি হলে একাধিক বেজ স্টেশনের প্রয়োজন হয়।
২. অনেক ব্যবহারকারী একই সময়ে একসেসের চেষ্টা করলে মারাত্নক ট্রাফিকের সমস্যা দেখা দেয়।
৩.নেটওয়ার্কের অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস সিগন্যালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪.বেশি বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন হয়।
৫.বাস্তবায়ন ও পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
৬.খারাপ আবহাওয়া যেমন ঝড়-বৃষ্টির কারণে এর সিগন্যালে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
৭. ডেটা রেট অত্যন্ত ধীরগতির(ফাইবার অপটিক ও স্যাটেলাইট এর তুলনায়)।
৮. বিভিন্ন ধরনের ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহৃত হয়।

Wi-MAX এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সার্ভিসসমুহ(ব্যবহার):
১.Wi-Fi এর হটস্পট।
২.মোবাইল টেলিফোন সার্ভিস ও মোবাইল ডেটা টিভি।
৩.আইপিটিভি(IP TV-Internet Protocol Television)
৪.ভিওআইপি(VOIP-Voice Over Internet Protocol)
৫.মোবাইল ইমার্জেন্সি রেসপন্স সার্ভিস।
৬.ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বিকল্প পন্থা হিসেবে।

শিক্ষার্থীদের কাজ: Wi-Fi ও Wi-MAX এর মধ্যে পার্থক্য লিখ।

 

 

দ্বিতীয় অধ্যায় লেকচার-০৭: তারবিহীন মাধ্যম (রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, ইনফ্রারেড)



Written by:

Habibur Rahman(Habib Sir)
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *