ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম(Data Communication Medium)
যার মধ্য দিয়ে উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা ট্রান্সমিট বা স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম বা চ্যানেল বলে।
ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যমের প্রকারভেদ
ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম প্রধানত ২ প্রকার।যথা-
১.তার মাধ্যম(Wire or Cable Medium)
২.তারবিহীন মাধ্যম(Wireless Medium)
তার মাধ্যম(Wire or Cable Medium): ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ক্যাবল বা তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সাধারণত স্বল্প দূরত্বের নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ধাতব তার বা ক্যাবল মাধ্যম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যাবল সাধারণত কপার(তামা) বা অ্যালুমিনিয়াম ও কাঁচ বা স্বচ্ছ প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরি হয়, যার মধ্য দিয়ে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে। ব্যবহারের ধরনভেদে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল মাধ্যমগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
১.টেলিফোন ক্যাবল(Telephone Cable)
২.কো-এক্সিয়াল ক্যাবল(Co-axial Cable)
৩.টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল(Twisted Pair Cable)
৪.অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল(Optical Fiber Cable)
টেলিফোন ক্যাবল(Telephone Cable): ১৯৭০ দশকের আগ পর্যন্ত টেলিফোন ক্যাবলের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ডেটা আদান-প্রদানের কাজ করা হতো। ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার আধিক্য ছিলো। বর্তমানে এ তারটি সীমিত পর্যায়ে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশেষকরে ফিক্সড বা ল্যান্ড টেলিফোনের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার প্রচলিত আছে।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল(Co-axial Cable): যে ক্যাবল দিয়ে ক্যাবল টিভি বা ডিস টিভির সংযোগ দেওয়া হয় এবং কপার তারের মধ্য দিয়ে ডেটা তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয় তাকে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল বলে।
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লেকচার-০৬ দেখুন। লিংক Lecture-6
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল(Twisted Pair Cable): দুটি পরিবাহী তামার বা অ্যালুমিনিয়ামের তারকে একই অক্ষে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে যে ধরনের ক্যাবল তৈরি করা হয় তাকে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল বলে।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লেকচার-০৬ দেখুন। লিংক Lecture-6
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল(Optical Fiber Cable): সিলিকা, কাঁচ অথবা প্লাষ্টিকের এক ধরনের পাতলা স্বচ্ছ তন্তু(সুতা) দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় তাকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলে।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লেকচার-০৬ দেখুন। লিংক Lecture-6
তারবিহীন মাধ্যম(Wireless Medium): কোন ধরনের বাহ্যিক তার সংযোগ ছাড়াই তড়িৎ চৌম্বক সংকেত ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যে মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তাকে তারবিহীন মাধ্যম বা ওয়্যারলেস মিডিয়া বলে।তারবিহীন মাধ্যমে ডেটা তার মাধ্যমের মতো একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত না হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে প্রবাহিত হয়। সাধারণত বায়ু মাধ্যমকেই ওয়্যারলেস মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ মাধ্যমে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা বিকিরণের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান হয়। তারবিহীন বা ওয়্যােরলেস মাধ্যম তিন ধরনের।যথা-
১.রেডিও ওয়েভ(Radio Wave)
২.মাইক্রোওয়েভ(Microwave)
৩.ইনফ্রারেড(Infrared)
রেডিও ওয়েভ(Radio Wave): 3KHz থেকে 300GHz এর মধ্যে সীমিত তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ(ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম) কে রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ বলে।
রেডিও ওয়েভ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লেকচার-০৭ দেখুন। লিংক Lecture-7
মাইক্রোওয়েভ(Microwave):300MHz থেকে 300GHz এর মধ্যে সীমিত তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ(ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম) কে মাইক্রোওয়েভ(Microwave) বলে। মাইক্রোওয়েভ আবার ২ প্রকার।যথা-
১.টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ(Terrestrial Microwave)
২.স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ(Satellite Microwave)
মাইক্রোওয়েভ ও স্যাটেলাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লেকচার-০৭ দেখুন। লিংক Lecture-7
ইনফ্রারেড(Infrared): ১৮০০ শতাব্দিতে উইলিয়াম হার্শেল ইনফ্রারেড আবিষ্কার করেন। 300GHz থেকে 430THz পর্যন্ত ফ্রিকুয়েন্সিকে ইনফ্রারেড বলে।
ইনফ্রারেড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লেকচার-০৭ দেখুন। লিংক Lecture-7
Written by:
Author at www.habibictcare.com
Email:habibbzm2018@gmail.com
Cell: +8801712-128532,+8801913865284